১ অক্টোবর থেকে ফেরিতে ডিজিটাল টিকিট
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সংযাগস্থল পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া ও কাজীরহাট ফেরিঘাটে আগামী ১ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতির র্যাপিড পাস সিস্টেম ম্যাগনেটিক কার্ড। যার ফলে হাতে লেখা টিকিটের আর প্রয়োজন হবে না, এমনকি যাত্রীদের টিকিটের জন্য কাউন্টারে অপেক্ষাও করতে হবে না।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতির টিকেটিং ও র্যাপিড পাস সিস্টেম চালুকরণ সংক্রান্ত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) উল্লেখিত তিনটি ফেরিঘাটে ডিজিটাল পদ্ধতির পাইলট প্রকল্পটি চালু করতে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি, কমিশনিং এবং বিআইডব্লিউটিসি’র অপারেটরদের ট্রেনিং সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি (জাইকা) বহন করবে। বিআইডব্লিউটিসি নিজ খরচে তিনটি ফেরিঘাটে সাতটি টিকেট কাউন্টার নির্মাণ ও মেরামত করবে।
পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় এক বছর। প্রকল্পটি সরকার অনুমোদিত ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ক্লিয়ারিং হাউজ ফর ইন্টিগ্রেটিং ট্রান্সপোর্ট টিকেটিং সিস্টেম ইন ঢাকা সিটি’-এর অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যে সকল যানবাহন নিয়মিত ফেরি পারাপার হয় সেগুলো রিচার্জ করে র্যাপিড পাস ব্যবহার করতে পারবে। আর যেগুলো অনিয়মিত পারাপার হয় সেগুলো নির্ধারিত টাকা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে র্যাপিড পাস টিকেট সংগ্রহ করতে পারবে।
জানা যায়, প্রতি সেকেন্ডে ১০ জন যাত্রী বিভিন্ন কাউন্টারে এ পাস ব্যবহার করতে পারবেন। ৩০ সেন্টিমিটার দূর থেকে এটি ব্যবহার করা যাবে। কার্ডটি ছয় মাত্রার নিরাপত্তা লেভেল সম্বলিত। এটির কোন নকল তৈরি করা যাবে না।
সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (কারিগরি) সুধাকর দত্ত, জাইকার প্রতিনিধি কোজি মিতো মোরি এবং ডিটিসিএ’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসেন এবং জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেন্টিভ তাকু ইয়ামাবি উপস্থিত ছিলেন।
আরএস