এবার র্যাফট খুলে গেল ‘হংসবলাকার’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’র সামনের একটি ইমার্জেন্সি এক্সিট ডোরের র্যাফট খুলে পড়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যাংকক থেকে আসা বিজি-০৮৯ ফ্লাইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বোডিং ব্রিজে সংযুক্ত হওয়ার সময় দরজা খুলতে গিয়ে একটি র্যাফট খুলে ফেলেন ফ্লাইটের চিফ পার্সার। ক্যাপ্টেন তাসমিন ফ্লাইটি ব্যাংকক থেকে নিয়ে আসেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বর ভুল অপারেশনের কারণে ওই এয়ারক্রাফটটির র্যাফট খুলে ফেলেন বিমানের কেবিন ক্রুরা।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ও সিনিয়র ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটিকে অদক্ষতা বলা যাবে না, অসাবধানতার কারণে এটি হয়েছে। চিফ পার্সার লিপি শান্ত মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। কেন ককপিটের কথা ধরতে পারলেন না তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
দরজার র্যাফট ছাড়া হংসবলাকা এখন অপারেশনে থাকতে পারবে কিনা- এমন প্রশ্রের জবাবে শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘বোয়িং ৭৮৭ এয়ারক্রাফট ডান বাম মিলিয়ে মোট আটটি দরজা থাকে। মোট সিট সংখ্যা ২৭১। প্রতিটি দরজা ব্যবহার করবেন ৩৪ যাত্রী। এয়ারক্রাফটটিতে র্যাফট না সংযোজন করা পর্যন্ত ৩৪ জন যাত্রী কম বহন করার নির্দেশনা রয়েছে। এটিই ফ্লাইট সেফটি রুলস।’
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের ছয়দিনের মাথায় খুলে পড়েছিল ‘আকাশবীণা’র সামনের একটি ইমার্জেন্সি এপিট ডোরের র্যাফট।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’।
আরএম/এমআরএম/এনএফ/এনডিএস/জেআইএম