‘১২ এপ্রিলের পরও ভবন ভাঙার সময় পাবে বিজিএমইএ’
রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবনটি ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ রয়েছে আদালতের। এর মধ্যে নিজ খরচে ভবনটি না ভাঙলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হিসেবে একটা নির্দিষ্ট সময় বিজিএমইএকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (৬ এপিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। তারা না ভাঙলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনটি ভাঙবে এবং এর খরচ বহন করতে হবে বিজিএমইকে।
আরও পড়ুন : এবার গণমাধ্যম কার্যালয়ের ‘অবৈধ’ ভবন ভাঙার ইঙ্গিত
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘র্যাংগস ভবন ভেঙে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো। আমরা জানি, র্যাংগস ভবনের মতো আরেকটা ভবন বিজিএমইএ। আদালতের নির্দেশে ১২ এপ্রিলের মধ্যে এটা ভেঙে ফেলার কথা। আমরা যতটুকু জানি, বিজিএমইএ ইতোমধ্যে তাদের অফিস স্থানান্তর করেছে। কিন্তু ভবন ভাঙার কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি।’
জবাবে রেজাউল করিম বলেন, ‘যদি লিগ্যাল প্রসেসে কোনো অবস্ট্রাকশন না হয়, তাহলে আমাদের একটা সেটেল প্রিন্সিপাল অব ল’ আছে যে, নো অ্যাকশন টুবি টেকেন উইথআউট গিভিং এনি অপর্চুনিটি টু দ্য পারসন কনসার্ন। অর্থাৎ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এত বড় একটা স্থাপনা। আমরা সঙ্গত কারণেই তাদের একটা সময় দিয়ে বলবো এর মধ্যে আপনাদের ভবন ভেঙে দিতে হবে। উনারা যদি ভেঙে না দেন, তাহলে আমাদের কারিগরি ও আইনানুগ প্রস্তুতি আছে, আমরা এটি ভেঙে ফেলব।’
তিনি আরও বলেন, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। একটা বড় স্থাপনা, একটা বড় বিজনেস কমিউনিটি সেখানে ছিল, দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাদের টাইম টু টাইম সময় দিয়েছে। আদালত যদি তাদের সময় বৃদ্ধি করেন, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আদালত যদি তাদের সময় বৃদ্ধি না করেন, তাহলে আমরা তাদের নির্ধারিত একটা টাইম সেট করে দেব। এর মধ্যে আপনাদের স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে।
পিডি/এএইচ/এমকেএইচ