ফায়ার সেফটি না থাকলে সতর্ক করার পর ব্যবস্থা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যে ভবনে যারা চাকরি করেন তারা নিজেরা সচেতন হয়ে দেখবেন ভবনটিতে ফায়ার সেফটি আছে কি-না। যদি না থাকে তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে।
তিনি বলেন, অভিযোগ জানালে আমরা সেই ভবনে তাৎক্ষণিক টিম পাঠাব, সতর্ক করব। তাতে কাজ না হলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার গুলশানে নগর ভবন থেকে ‘ভবন পরিদর্শন দলের’ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ভবনের বিষয়ে অভিযোগ দেয়ার জন্য অভিযোগ বক্স ও ফোন নম্বর চালু করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি।
অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০টি ‘ভবন পরিদর্শন দল’ গঠন করেছে ডিএনসিসি। ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে দুটি করে দল গঠন করা হয়েছে। ডিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস, বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্যের সমন্বয়ে প্রতিটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন>> অভিযোগ বক্স চালু করবে ডিএনসিসি
আতিকুল ইসলাম বলেন, ভবন পরিদর্শন দলগুলো ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত বহুতল ভবনে গিয়ে আগেই তৈরি করা একটি চেকলিস্টের মাধ্যমে ভবনের অগ্নি-ঝুঁকি পরীক্ষা করবে। কোনো ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তা যথেষ্ট না থাকলে সে ভবনের প্রবেশস্থলে ভবনটির অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, সতর্ক থাকুন- লেখা একটি স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হবে। তাছাড়া ভবনে বসবাসকারী বা ভবন মালিককে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তরের ২০টি ভবনকে এ কার্যক্রমে ‘মডেল ভবন’ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে, যাতে অগ্নি নিরাপত্তার সব বন্দোবস্ত থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ভবনগুলোতে ফায়ার এক্সিট, ফায়ার ডোর ও নিরাপত্তাকর্মীদের ফায়ার ড্রিল (প্রশিক্ষণ) রয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখবে টিম।
মেয়র জানান, প্রথম ধাপে ত্রুটি পেলে ভবন মালিকদের সতর্ক করবেন তারা। এরপরও কেউ ত্রুটি ঠিক না করলে সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে তার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যারা ভবনের সমস্যা জানাবেন তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসে অভিযোগ বক্স খোলা হবে। একটি ফোন নম্বর চালু করব আমরা। এসব মাধ্যমে যারা অভিযোগ জানাবেন তাদের পরিচয় গোপন থাকবে। আর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাজ করে সবাইকে নিয়ে নিরাপদ ঢাকা গড়ে তুলব।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. তারিক বিন ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/জেডএ/জেআইএম