রমজান পরিবহনের বাসচাপায় কলেজছাত্র নিহত
রাজধানীর ডেমরা-রামপুরা সড়কে রমজান পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ইবনে তাহছিম ইরাম (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
বাসের চাপায় মাথার একপাশ থেতলে মগজ বেরিয়ে যায় ইরামের। শুক্রবার দুপুরে ডেমরা-রামপুরা সড়কের মোস্তফা মাঝি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ইরাম ডেমরার আমুলিয়া পূর্ব পাড়ার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে ডেমরার গোলাম মোস্তফা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ঘাতক বাসটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রামপুরা থেকে ট্রাফিক পুলিশ রমজান পরিবহনের ওই বাসটিসহ (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৩৬৮৭) চালক মো. শামীম ও হেলপার মুন্না মিয়াকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা ট্রাফিক জোনের টিআই বিপ্লব ভৌমিক বলেন, এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও কলেজ শিক্ষার্থীরা ডেমরার আমুলিয়া, স্টাফ কোয়ার্টার ও সুলতানা কামাল সেতু এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর সড়ক অবরোধ
ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২ টার সময়ে ডেমরা-রামপুরা সড়কের মোস্তফা মাঝির মোড় এলাকায় (স্টাফ কোয়ার্টার পার হয়ে) গোলাম মোস্তফা কলেজের এক শিক্ষার্থী বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে রমজান পরিবহনের একটি বাস ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই ছেলেটি মারা যায়। তার মরদেহ বাসায় নেয়া হয়েছে। ওই এলাকাতেই ছেলেটির বাসা।
তিনি বলেন, এ ঘটনার জের ধরে কলেজের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। পরে সেখানে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়। ঘাতক বাস ও বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে নেই জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার কিংবা রোড ডিভাইডার। স্পিড ব্রেকার থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি তোলেন তারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আজকের মধ্যে সব ব্যবস্থা করার কথা জানালে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ডেকে আজকের মধ্যেই স্পিড ব্রেকার স্থাপন ও ডিভাইডারের কাজ শুরু হয়।
জেইউ/জেএইচ/এমএস