কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৭ দিনের আল্টিমেটাম
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে আবারও শুরু না করলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন উচ্চ আদালতে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
মনজিল মোরশেদ বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারলাম, এখানে কিছু জটিলতা আছে। সে জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রমটা বন্ধ হয়ে গেছে। আমি জেলা প্রশাসন ও বন্দরের কর্মকর্তাদের বলেছি যে, হাইকোর্টের নির্দেশনাটা বাইপাস করার বা সেটা থেকে দূরে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যদি থাকেন, তাহলে আপনাদের আদালত অবমাননার মুখোমুখি হতে হবে।’
‘সর্বোপরি আমি বলেছি, সাত দিনের মধ্যে যদি তারা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু না করে, তাহলে আদালত অবমাননার বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করব। তখন তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় সমস্যাটা হচ্ছে, নদীতীরের অবৈধ স্থাপনার জরিপটা হয়েছিল ২০১৫ সালে। তখন যে তালিকাটা হয়েছিল, এর বাইরে গত চার বছরে আরও অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এখন তালিকায় থাকা একটি স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে তো পাশেরটিও উচ্ছেদ করতে হচ্ছে। কিন্তু সেটি তো তালিকায় নেই।’
‘আমি বলেছি- হাইকোর্টের নির্দেশনা যেভাবে আছে, সেভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। নতুন যেসব স্থাপনা আছে সেগুলোর বিষয়ে আবার হাইকোর্টের নির্দেশনা চাইব। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলোও উচ্ছেদ করতে হবে,’ বলেন মনজিল মোরশেদ।
মনজিল মোরশেদ বলেন, ‘এর আগে যেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছিল, সেগুলো ছিল জেলা প্রশাসনের খাসখতিয়ানভুক্ত। কিন্তু এর মধ্যে বড় একটা জায়গা আছে, যেটা মূলত বন্দরের। সেখানে কয়েক হাজার লোক আছে। তাদের পেছনে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়া আছে। সে কারণে প্রশাসন ভয় পাচ্ছে। যারা উচ্ছেদ করতে গেছেন, তাদের হুমকি দেয়া হয়েছিল। তারা ভয় পাচ্ছেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমি বলেছি, এই নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আমি আদালতের নজরে আনব।’
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কর্ণফুলী নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর সদরঘাট এলাকায় প্রথম ধাপের কাজ শেষে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন বলছে, উচ্ছেদের পর উদ্ধার হওয়া ভূমির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মহাপরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। সে জন্য উচ্ছেদে সাময়িক বিরতি দেয়া হয়েছে।
আবু আজাদ/বিএ