অনলাইনে হবে বেসরকারি শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি করার বিধান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
বদলিতে কারও হস্তক্ষেপ যাতে না থাকে এবং বদলি কার্যক্রম সহজ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদন করার প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। তবে সফটওয়্যারভিত্তিক বদলি প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবেদন গ্রহণ, বদলির আদেশ এবং যাবতীয় তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এ সফটওয়্যারে শিক্ষকরা অনলাইনে তাদের পছন্দমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে বদলির আবেদন করবেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম তারা দিতে পারবেন। বছরের বিশেষ একটি সময়ে সফটওয়্যারের মাধ্যমে এসব বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, বদলির সফটওয়্যারের দায়িত্ব মাউশি অধিদফতরের হাতে থাকবে নাকি এনটিআরসিএতে (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ)-এ বিষয়ে বুধবার (৩ এপ্রিল) একটি সভা করা হয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ সভায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে,
নীতিমালার খসড়া অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের তালিকা সফটওয়্যারে দিয়ে দেয়া হবে। এরপর বদলি হতে ইচ্ছুক শিক্ষকদের আবেদন অনলাইনে নেয়া হবে। কোনো শূন্যপদের বিপরীতে একাধিক আবেদনকারী হলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলির নোটিশ তৈরি হয়ে যাবে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষকদের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আরেক প্রতিষ্ঠানে বদলির বিষয়ে নীতিমালা তৈরির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মাউশিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ৩ এপ্রিলের সভায় নীতিমালার প্রস্তাবিত খসড়া পেশ করে মাউশি অধিদফতর। খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, বদলির ক্ষেত্রে প্রার্থীরা নিজ জেলায় ফিরতে অগ্রাধিকার পাবেন। তবে একই প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছর না থাকলে কেউ বদলির যোগ্য হবেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষক বদলির খসড়া নীতিমালা নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে এর খুঁটিনাটি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নীতিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আবেদন গ্রহণ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনলাইনে করার প্রস্তাব এসেছে সভায়। এ বিষয়ে সকলের সম্মতি রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।’
এমএইচএম/এসআর/পিআর