বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে ৬টার মধ্যে
পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় কোনো মুখোশ ব্যবহার করা যাবে না, তবে হাতে রাখা যাবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে যে কোনো খোলা জায়গায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অনুষ্ঠানস্থলে ৫টার পর আর কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ভুভুজেলা নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া শোভাযাত্রায় মুখোশ মুখে নয়, হাতে প্ল্যাকার্ড হিসেবে রাখা যাবে।
বর্ষবরণের উদযাপন অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, উচ্ছৃঙ্খলতা ও নাশকতা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি দেখার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ‘বর্ষবরণের উদযাপনকে কেন্দ্র মাদককে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেসবুক, টুইটারের যেন কেউ অপব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে মনিটরিং করা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে নববর্ষের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল—চারুকলা, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রবীন্দ্র সরোবরের মতো জনসমাগমস্থলে বিশেষ নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানের দিন পুরো ঢাকায় চলাচলের জন্য ট্রাফিক প্ল্যান করবে ডিএমপি। নববর্ষের অনুষ্ঠানের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বিশেষ স্টিকারযুক্ত গাড়ি ব্যতীত ঢাবি ক্যাম্পাসে চলাচল করতে পারবে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কূটনৈতিক এলাকা বিশেষ নজরদারিতে থাকবে। হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, গুলশান লেক, ধানমন্ডি লেকের মতো জনবহুল এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি থাকবে।’
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নাশকতার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো নাশকাতার সংবাদ পাইনি। তবে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষ ও তৎপর।’
এমইউএইচ/জেডএ/এএইচ/এমএস