বিআরটিসির সকল ডিপোর বেতন একই দিনে পরিশোধের দাবি
বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে একই দিনে বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ডিপোর শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে বিআরটিসিকে রাষ্ট্রীয় খাতে অন্তর্ভুক্ত করা ও সর্বস্তরের শ্রমিক-কর্মচারীদের এলপিআরে যাওয়ার পর পাওনা টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিআরটিসি শ্রমিক-কর্মচারী আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের জনসাধারণকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বিআরটিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন অস্থিরতার কারণে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও ঐতিহ্য হারাতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিআরটিসির সেবার প্রতি আস্থা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ।
তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লাগাতার হরতাল-অবরোধে শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের পরিবারের কথা না ভেবে সরকারের সুনামের কথা চিন্তা করে জীবনবাজি রেখে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি পরিচালনা করে। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীদের ১০-১২ মাসের বেতন বকেয়া। এমনকি চাকরি শেষে পেনশনের টাকা ৮-১০ বছর ঘুরেও পাওয়া যায় না।
এ অবস্থা চলতে থাকলে বিআরটিসির ওপর থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের আস্থা উঠে যাবে। তাই শ্রমিকদের বাঁচাতে বিআরটিসিকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা ও সব শ্রমিক-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধের আবেদন জানানো হয়।
মানববন্ধনে বিআরটিসিকে রাষ্ট্রীয় খাতে অন্তর্ভুক্ত, সর্বস্তরে শ্রমিক-কর্মচারীদের এলপিআরে যাওয়ার পর টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ, প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে সব ডিপোর বেতন একই দিনে পরিশোধ, দাবি আদায়কারী কোনো শ্রমিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হয়রানিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এতে বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপোর দেড় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এমএসএইচ/জেআইএম