পোলট্রি শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে সরকার
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত পোল্ট্রি শিল্প। এটি কৃষি অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপ-খাত। মেধাবী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে পোলট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ শিল্পের বিকাশে সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সব করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের অফিসকক্ষে পোল্ট্রি খাতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেয়।
তিনি বলেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে জাতীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পোল্ট্রি খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে। এ খাতে প্রায় এক কোটি জনশক্তির ৪০ শতাংশ নারী। নিরাপদ মুরগি ও ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রফতানি বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ শিল্পের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।
পোল্ট্রি খাতের নেতারা জানান, দেশে পোল্ট্রি ফিডের বার্ষিক উৎপাদন ২৭ লাখ টন। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ফিড মিলে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২৫ দশমিক ৫০ লাখ টন এবং লোকাল উৎপাদন প্রায় ১ দশমিক ৫০ লাখ টন। বর্তমান বাজারে মুরগির মাংস ও ডিম সবচেয়ে নিরাপদ খাবার।
তারা বলেন, ট্যানারির বর্জ্য থেকে পোল্ট্রি শিল্পের খাবার তৈরির খবর ভিত্তিহীন। দেশে ট্যানারি শিল্পে উৎপাদিত বর্জ্য পোল্ট্রি শিল্পের মোট খাদ্য চাহিদার দেড় শতাংশ। ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য থেকে কখনোই খাদ্য তৈরি করা হয়নি।
পোল্ট্রি শিল্পের জন্য কিছু দাবি উত্থাপন করেন নেতারা। মন্ত্রী সব দাবি শুনে তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল আরফিন খালেদ, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল, বির্ডাসের জেনারেল সেক্রেটারি, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।
এমইউ/এমএসএইচ/এমএস