ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চতুর্থ ধাপে জয়ী হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০১৯

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ছিলেন। উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ১০৬ জন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নির্বাচনে ভোটগ্রহণে অনিয়মে স্থগিত রয়েছে।

চতুর্থ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচিত ১০৬ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৭৩ জন। ৭৩ জনের মধ্যে ২৪ জন ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বাইরে রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থীদের মধ্য থেকে কেবল একজন জয়ী হয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির (জেপি) মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন ৩২ জন। এছাড়া বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল এবারের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জৌলুস হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের দিন তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে অনাস্থা থেকেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না।’

ভোট ছাড়া জয়ী প্রার্থীরা হলেন-

ভোট ছাড়া জয়ী ২৪ জনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তারা হলেন- ভোলা জেলার দৌলতখানে মনজুর আলম খান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়াতে মো. মিরাজুল ইসলাম, যশোরের সদর উপজেলায় মো. শাহীন চাকলাদার, খুলনার ফুলতলায় শেখ আকরাম হোসেন ও বটিয়াঘাটায় মো. আরাফুল আলম খান, বাগেরহাটের সদর উপজেলায় সরদার নাসির উদ্দিন, মোংলাতে আবু তাহের হাওলাদার, চিতলমারীতে অশোক কুমার বড়াল, কচুয়াতে এস এম মাহফুজুর রহমান, রামপালে সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন ও শরণখোলায় কামাল উদ্দিন আকন।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় আশরাফ হোসাইন ও ফুলবাড়ীয়াতে মো. আব্দুল মালেক সরকার, ঢাকার দোহারে মো. আলমগীর হোসেন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মো. হারুনর রশিদ, মধুপুরে মো. ছরোয়ার আলম খান আবু ও গোপালপুরে মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার, নোয়াখালীর সেনবাগে জাফর আহাম্মদ চৌধরী, সোনাইমুড়ীর খন্দকার আর আমিন ও সুবর্ণচরে এ এইচ এ খায়রুল আনাম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতে আবুল কাশেম ভূঁইয়া, ফেনীর সোনাগাজীতে জহির উদ্দিন মাহমুদ (লিপটন) ও দাগণভূঁঞাতে মো. দিদারুল কবির এবং দিনাজপুর সদরে ইমদাদ সরকার।

নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হয়েছে যারা

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মো. গোলাম সরোয়ার, দশমিনায় মো. আব্দুল আজীজ, গলাচিপায় মুহম্মদ সাহিন, কলাপাড়ায় এস এম রাকিবুল আহম্মদ, দুমকীতে হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার ও বাউফলে আব্দুল মোতালেব হাওলাদার; ভোলা জেলার লালমোহনে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ; বরগুনা জেলার বেতাগীতে মো. মাকসুদুর রহমান ও বামনাতে মো. সাইতুল ইসলাম লিটু; পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলায় মো. মজিবুর রহমান, ইন্দুরকানীতে এম. মজিবুর রহমান ও নাজিরপুরে অমূল্য রঞ্জন হালদার।

যশোর জেলার চৌগাছাতে মো. মোস্তানিছুর রহমান, অভয়নগরে শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর ও মনিরামপুরে নাজমা খানম; খুলনা জেলার কয়রাতে এস এম শরিফুল ইসলাম, পাইকগাছায় গাজী মোহাম্মদ আলী ও তেরখাদায় মো. কামাল উদ্দিন; বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জে মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু, ফকিরহাটে স্বপন কুমার দাশ ও মোল্লাহাটে শাহীনুল আলম ছানা।

ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে মাহমুদুল হক সায়েম ও ঈশ্বরগঞ্জে মাহমুদ হাসান সুমন; নরসিংদীর সদর উপজেলায় মো. সফর আলী; মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় আনিছ উজ্জামান, সিরাজদিখানে মহিউদ্দিন আহমেদ, লৌহজংয়ে মো. ওসমান গনী তালুকদার, টঙ্গিবাড়ীতে মো. জগলুল হালদার ভুতু, গজারিয়াতে আমিরুল ইসলাম; নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, সোনারগাঁয়ে মো. মোশারফ হোসেন ও রূপগঞ্জে মো. শাহ জাহান ভূইয়া।

টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলাতে শাহজাহান আনছারী, মির্জাপুরে মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, ঘাটাইলে মো. শহিদুল ইসলাম লেবু, ভূঞাপুরে মো. আব্দুল হালিম ও সখিপুরে জুলফিকার হায়দার কামাল।

কুমিল্লা জেলার চান্দিনাতে তপন বক্সী, মুরাদনগরে আহসানুল আলম কিশোর, মেঘনাতে মো. সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার ও হোমনায় রেহানা বেগম; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে ওমর ফারুক বাদশা ও চাটখিলে জাহাঙ্গীর কবির; ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মো. হানিফ মুন্সি ও নাসিরনগরে রফি উদ্দিন আহম্মদ; ফেনী জেলার সদর উপজেলায় আবদুর রহমান ও ফুলগাজীতে মো. আব্দুল হালিম; কক্সবাজার সদরে কয়সারুল হক জুয়েল এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মো. আব্দুল লতিফ প্রধান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন যারা

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জে খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী, ভোলার তজুমদ্দিনে মোশারেফ হোসেন দুলাল, বরগুনা সদরে মো. মনিরুল ইসলাম, আমতলীতে গোলাম ছরোয়ার ফোরকান ও পাথরঘাটায় মোস্তফা গোলাম কবির, পিরোজপুরের নেছারাবাদে আব্দুল হক, যশোরের বাঘারপাড়ায় নাজমুল ইসলাম (কাজল), ঝিকরগাছায় মো. মনিরুল ইসলাম ও কেশবপুরে কাজী রফিকুল ইসলাম।

খুলনার দিঘলিয়ায় শেখ মারুফুল ইসলাম, দাকোপে মুনসুর আলী খান ও রূপসায় মো. শহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ডেভিড রানা চিসিম, ফুলপুরে মো. আতাউল করিম রাসেল, গৌরীপুরে মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, নান্দাইলে হাসান মাহমুদ জুয়েল, মুক্তাগাছায় মো. আব্দুল হাই আকন্দ ও ভালুকায় মো. আবুল কালাম।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মশিউর রহমান মামুন, ঢাকার ধামরাইয়ে মোহাদ্দেছ হোসেন ও নবাবগঞ্জে নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মাহমুদুল হাসান, নাগরপুরে আব্দুছ ছামাদ, কালহাতীতে মো. আনছার আলী ও বাসাইলে কাজী অলিদ ইসলাম, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে আখলাক হায়দার ও ব্রাহ্মণাড়ায় মুহাম্মদ আবু তাহের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ফিরোজুর রহমান, সরাইলে রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও নবীনগরে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কুড়িগ্রারে ফুলবাড়ীতে মো. গোলাম রব্বানী সরকার এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল।

এর বাইরে জাতীয় পার্টি (জেপি) মনোনীত প্রার্থী মো. আবু সাইদ মিঞা পিরোজপুরের কাউখালী থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

পিডি/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন