অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার আহ্বান সাঈদ খোকনের
রাজধানীতে একের পর এক ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো নিছক দুর্ঘটনা কি-না এবং কি কারণে ঘটছে তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার জন্য ফায়ার সার্ভিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
শনিবার মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে ‘নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা, চকবাজার পরবর্তী প্রস্তুতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অগ্নিকাণ্ডে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছার সুবিধার্থে পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিসের প্রতি অনুরোধ জানান সাঈদ খোকন।
মেয়র বলেন, ‘নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তায় নগর কর্তৃপক্ষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে ব্যবসায়ীরা যেন সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন এবং কোনো হয়রানির মধ্যে না পড়েন সেটা দেখা হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো প্রাণহানি যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে অবশ্যই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জীবনের বিনিময়ে কোনো ব্যবসা নয়।’
এর আগে ‘নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা : চকবাজার পরবর্তী প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিফ কেমিক্যাল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট সিরাজুর রহমান।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি সাজ্জাদ হোসাইন, ব্যবসায়ী নেতা আরিফ হোসেন, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
চকবাজারের আগুনের রেশ কাটতে না কাটতে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা পৌনে ১টায় বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে আগুন লাগে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জন নিহত ও ৭৩ জন আহত হন।
এর দুইদিন পর শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখানে কেউ হতাহত হননি।
এএস/এনডিএস/জেআইএম