‘মার্কেট-শপিং সেন্টারে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকলে ব্যবস্থা’
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে যেসব মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং সেন্টার আছে সেগুলোতে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোনো মার্কেট কিংবা ভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট মালিক এবং দোকান মালিক সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই মার্কেটটিতে এর আগে যখন আগুন লাগে তখন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এখনও অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা এখানে ডিএনসিসি স্থায়ী মার্কেট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মামলার জটিলতা আছে। আমরা এই মামলার নিষ্পত্তি করে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী মার্কেটের দিকে যাব৷ যেখানে অগ্নিনির্বাপণসহ ব্যবসায়ীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে মার্কেটের কাঁচাবাজারের পূর্ব পাশে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে ৫টা ৫৫ মিনিটে মাত্র সাত মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে তাদের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। এরপর একে একে আরও ইউনিট এসে যোগ দেয়। সর্বশেষ ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে নৌ বাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ওই আগুনে মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এএস/এআর/এমবিআর/এমএস