গুলশানের সড়কে যান চলাচল বন্ধ
ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের কারণে গুলশান-১ নম্বরের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গুলশান-১ নম্বরে যেতে সব প্রবেশ পথে ব্যারিকেড বসিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে হাতিরঝিল ও পুলিশ প্লাজা, গুলশান গুদারাঘাট, মহাখালী টিবি গেট ও গুলশান-২ নম্বর থেকে কোনো গাড়ি ঢুকতে পারছে না।
রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবনের পর শনিবার (৩০ মার্চ) গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে গুলশান-১ এ যাওয়ার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় আগতরা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। শুধুমাত্র মাল সরানোর কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান, অ্যাম্বুল্যান্স ও ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান সমূহের গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে ৫টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রথমে ৭টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে ২০টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেটে মূল আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে চারিদিকে অতিরিক্ত ধোয়া সৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আশেপাশের দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এআর/আরএস/এমএস