রাস্তায় মালামাল রাখছেন ব্যবসায়ীরা
রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে লাগা আগুনের কারণে গুলশান শপিং সেন্টারসহ আশপাশের সবকয়টি মার্কেট থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গুলশান শপিং সেন্টারে রয়েছে বেবি প্রোডাক্ট, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক্স, মানি এক্সচেঞ্জ, হার্ডওয়ার ইত্যাদির দোকান।
এই মার্কেট থেকে ইতোমধ্যে ফার্নিচারসহ বিভিন্ন মালামাল বাইরে বের করে রাস্তার ওপর রেখেছে ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ হালকা মালামালগুলো ওপর থেকে নিচে ফেলছেন। এ ছাড়া মার্কেটের সামনে প্রায় ৮-১০টি পিকআপ ভ্যান রাখা হয়েছে।
মেসার্স মায়ের দোয়া ইলেকট্রনিক্স স্টোরের কর্মচারী আবু সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, দোকানে ঝাড়বাতি, এনার্জি লাইট, এলইডিসহ অনেক বাল্ব রয়েছে। আমরা মূল্যবান জিনিসপত্রগুলো সরিয়ে নিচ্ছি।
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে মার্কেটের কাঁচাবাজারের পূর্ব পাশে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে ৫টা ৫৫ মিনিটে মাত্র সাত মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে তাদের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। এরপর একে একে আরও ইউনিট এসে যোগ দেয়। সর্বশেষ ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে নৌ বাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেয়।
আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে হতাহতেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা সিটি কর্পোরেশনের পানির গাড়ির পাশাপাশি গুলশান লেকে পাম্প বসিয়ে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে।
এছাড়া বনানীর মতো এখানেও মার্কেটের আশেপাশে দোকান মালিক-কর্মচারীসহ বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। এর ফলে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবারহের গাড়ি ঢুকতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে অভিযোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ওই আগুনে মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এআর/এএস/এমবিআর/এমএস