অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি কামালের
বহুতল ভবন তৈরিতে প্রয়োজনীয় আইন মানা হচ্ছে কি না, ভবনে অগ্নিকাণ্ড হলে করণীয় নির্ধারণ এবং অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ার পরিদর্শন শেষে তিনি এ দাবি জানান। শুক্রবার তিনি ওই ভবন পরিদর্শনে যান।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ভবন নির্মাণে যে আইনগুলো রয়েছে প্রথমত সেগুলো পরীক্ষা করতে হবে, সেখানে কোনো ঘাটতি আছে কি না। এত এত বহুতল ভবন হয়েছে এবং হচ্ছে- সেগুলো আইন মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না। সেগুলোর নকশায় কোনো ঘাটতি ছিল কি না- বিষয়গুলো দেখতে হবে। নকশা না মেনে ভবন তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটিও নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এসব ভবনে আগুন লাগলে করণীয় কী হবে তাও নির্ধারণ করতে হবে। মানুষতো ১০-১২ তলা থেকে লাফিয়ে বাঁচতে পারবে না। সব দেশেই এমন আইন রয়েছে, আমাদেরও রয়েছে। তাই এসব বিষয় পর্যবেক্ষণে জাতীয় পর্যায়ে একটা কমিশন গঠন করতে হবে।
ভবন নির্মাণের নীতিমালা নিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে আইন আছে ১০, ১২ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করতে হলে ফায়ার এক্সিট থাকতে হয়। কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে, মানুষ মারা গেছে, কিন্তু কোনো ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট ছিল না। এত বড় ভবন থেকে মানুষ প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে, এটা তো হতে পারে না।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, যেখানে (কমিশনে) এসব বিষয়ে অভিজ্ঞদের রাখতে পারে সরকার। যারা প্রত্যেকটি বিষয় সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে। এতে যেন ইঞ্জিনিয়ার ও বড় মাপের আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার থাকে। তারা পরামর্শ দেবে কীভাবে বিল্ডিং তৈরি করার সময় ফায়ার এক্সিট থাকতে হবে। এ ছাড়া এখন যে বিল্ডিংগুলো আছে সেগুলোর বর্তমান অবস্থাও তারা মূল্যায়ন করবে।
গণফোরামের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি, এখানেই থেমে থাকব না। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নকশায় কী ছিল, কারা কীভাবে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে দিয়েছিল নাকি বুঝেশুনে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। আপনাদের কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের দিয়ে সহায়তা করবেন।
এইউএ/জেডএ/এমএস