আল্লাহ যদি বাঁচায় রাহে দেহা অইব : স্ত্রীকে আতিকুর
রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর এখন পর্যন্ত মির্জা আতিকুর রহমানকে খুঁজে পাচ্ছেন না তার স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মির্জা আতিকুর রহমানের খোঁজ করেছেন তার পরিবারের সদস্য মির্জা শফিউদ্দিন, মির্জা মামুন ও মির্জা রাসেল।
তারা জানান, ঢামেক ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ বেশ কয়েক জায়গায় মির্জা আতিকুরকে খোঁজ করেছেন, তবে কোথাও তাকে খুঁজে পাননি। এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ধানমন্ডির ইউনাইটেড হাসপাতালে খোঁজ নিতে যাবেন তারা।
মির্জা আতিকুরের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর সদরের শোলপাড়ায়। তার বাবার নাম আব্দুল কাদির মির্জা, মায়ের নাম হাজেরা বেগম। তিনি এফআর টাওয়ারে অবস্থিত এফসিএএন ওয়েল লজিস্টিক লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন।
মির্জা শফিউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বেলা ১টায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় আতিকুরের। ওই সময় আতিকুর বলেন, ‘ধুমায় তো বাইর হওনের কোনো কায়দা নাই। আল্লাহ যদি বাঁচায় রাহে তো দেহা অইব। না থাকলে মাফ কইরা দিও’। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
আজ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বনানীর এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পিডি/এমবিআর/পিআর