বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৯ আহত ৭০
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ জন।
হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে উদ্ধারকাজ চলছে। ভবনে কেউ জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকা পড়ে আছে কি না- তা অনুসন্ধানে উদ্ধার টিম কাজ করছে।
এদিকে গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল আহাদ নিহত ছয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), মামুন (৩৬), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মনির (৫০) ও মাকসুদুর (৩৬)।
জানা গেছে, ঢামেকে নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবং কুর্মিটোলায় নিহতের নাম নিরস ভিগ্নে রাজা (৪০)। কুর্মিটোলায় নিহত রাজা শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং স্কেন ওয়েল লজিস্টিকসের ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। তবে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিহত তিনজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু জানান, বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটের দিকে আব্দুল্লাহ আল ফারুক মারা যান। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ঢামেকে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পরও তার জ্ঞান ফেরেনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের ২২তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পর বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস সদরের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে নির্বাপণ শতভাগ হয়নি। ধোঁয়া আছে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে।
এইচএস/এআর/এমকেএইচ