‘এমুন গরম, টিকতে পারতেছিলাম না’
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে ২২তলা ভবনের আগুনে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রেজাউল আহমেদ (৩৬)। বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগার সময় তিনি তাপ সহ্য না করতে পেরে ভবন থেকে লাফ দেন। নিচে পরে তার হাত ও পা ভেঙে গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের সামনে রেজাউল আহমেদের বাবাকে হাউমাউ করতে চিৎকার করতে দেখা যায়। সেখানে কথা হয় রেজাউল আহমেদের মামাশ্বশুর জনির সঙ্গে। আগুন লাগার সময় তিনিও সেখানে ছিলেন।
জনি বলেন, ‘আগুনে আটকা পড়ার পর আমরা ওর সাথে কথাবার্তা বলছি। কথা হওয়ার পরে হঠাৎ মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা ওকে বলছি, লাফটাফ দিস না।’
তিনি বলেন, ‘যখন আগুন বাড়তে থাকে, তহন (তখন) ও ওইখান থেইক্যা লাফ দিছে। যেখানে পড়ছে, ওইখান থেইক্যা আরেক ভাই রেজাউলকে নিয়া চইলা আইছে। কুর্মিটোলা নিছিল ওরে। জ্ঞান আছিল, কথা বলতেও পারতেছিল। ও বলছেছিল, লাফ দিছে।’
জনি আরও বলেন, ‘তহন আমি ওরে (রেজাউল) বলছি, তরে না কইছিলাম তুই থাকবি ওইহানে। ও কলে মামা, এমুন গরম হইছে, আমি আর টিকতে পারতেছিলাম না। তাই লাফ দিছি।’
আহত রেজাউল আহমেদকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে ঢামেকে ভর্তি তিনি।
আগুন লাগার শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের তৎপরতা কম ছিল বলে অভিযোগ করেন জনি। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তেমন কাজ করতেছিল না। আমাদের সঙ্গে অনেক স্টুডেন্ট ছিল, আমরা সবাই তাদের হেল্প-টেল্প করছি।’
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের ২২তলা ভবনে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
পিডি/আরএস/এমকেএইচ