ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ট্রাফিকের জরিমানা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ২৪ মার্চ ২০১৯

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ‘ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশন’র জরিমানা পরিশোধ করতে আর যেতে হবে না ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে। প্রসিকিউশনের সময় ঘটনাস্থলেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে নিরাপদ নেটওয়ার্কিংয়ে পরিশোধ করা যাবে জরিমানার টাকা।

ডিএমপি বলছে, ভবিষ্যতে এমন সুবিধা দিতে গ্রামীণফোনের ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পদ্ধতির সঙ্গে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ই-প্রসিকিউশন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

traffic2

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে ডিএমপির পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। গ্রামীণফোনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ডিরেক্টর, হেড অব কর্পোরেট বিজনেস মো. নাছার ইউসুফ।

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে ভালো নাগরিক সেবা দেয়ার উদাহরণ ডিএমপিতে তৈরি হয়েছে। ট্রাফিক পজ মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন যেমন সহজ ও স্বচ্ছ হচ্ছে, ঠিক সেই সঙ্গে দুর্নীতিও কমেছে। সরকারের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটালাইজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএমপি অনেক এগিয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের পর জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজ পেতে জনসাধারণের বিড়ম্বনা পেতে হতো। ভালো সেবা দিয়ে বিড়ম্বনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এই বিড়ম্বনা রোধ করতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পজ মেশিনগুলো ভিপিএনের নিরাপদ নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ভবিষ্যতে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।

traffic3

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশনে জরিমানা অন দ্য স্পট ইউক্যাশ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সবার বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানা অন দ্য স্পট বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষকে এর আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করলে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের জরিমানা প্রদান সহজ হবে। প্রয়োজন হবে না কোনো কাগজ আটকে রাখার।

একই অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডিডি নাছার ইউসুফ বলেন, এই ভিপিএন পদ্ধতির ফলে জনভোগান্তি অনেক হ্রাস পাবে। ২০১৬ সাল থেকে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে গ্রামীণফোন কাজ করছে। ইন্টারনেটের পরিবর্তে ইন্ট্রানেট সিস্টেমই এই ভিপিএন। সিকিউর কানেকশনের জন্য ভিপিএন জরুরি।

তিনি বলেন, ট্রাফিক প্রসিকিউশনে অনেকে অন দ্য স্পট জরিমানা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক থাকেন। সেক্ষেত্রে কার্ড সুইফ করে ভিপিএনের মাধ্যমে নিরাপদে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের ৩০০টি সিম ভিপিএনের আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে জনকল্যাণে এ রকম সিকিউরিটি সিস্টেমে গ্রামীণফোন কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।

জেইউ/বিএ/পিআর

আরও পড়ুন