এমপিওভুক্তির দাবি : ১৫ মাসেও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া হতাশার
‘গত বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আন্দোলনরত নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সে দাবি ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি। মাঝে শিক্ষামন্ত্রণালয় অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ করলেও অজানা কারণে তা বন্ধ রয়েছে। আমরা বাধ্য হয়ে ফের রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।’
শুক্রবার বেলা ১১টায় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় এমপিওভুক্তির দাবিতে পুনরায় রাজপথে নেমেছি। নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ আটকে দেয়। তাই আমরা প্রেস ক্লাব সংলগ্ন কদম ফোয়ারায় অবস্থান করছি। এখানেই রাত্রী যাপন করেছে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।
ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আমাদের দাবি কি অন্যায্য? যদি তাই মনে হয় তাহলে বলে দিন। আমরা আর ক্লাশে ফিরবো না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী দাবি মেনে নিয়েছেন। অনশন ভেঙে আমাদের ঘরে ফিরে যেতে বলেছেন। এরপর জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ কয়েকজন এসে আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ দেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তারা। কিন্তু এক বছর পার হলেও দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় কিন্তু তা পালন করা হয় না। এ কারণেই আমরা আবারও সমবেত হয়েছি।
মোমেনা খাতুন নামে এক শিক্ষক বলছিলেন, চাকরি আছে কিন্তু বেতন নেই এমন দেশ পৃথিবীতে নেই। কিন্তু বাংলাদেশে এমনই অবস্থা বিরাজমান। আমরা বছরের পর বছর চাকরি করছি, বেতন ছাড়া শ্রম দিচ্ছি।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছি। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। অথচ এক বছর পার হলেও দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা তুলে ধরব। তিনি আমাদের যে নির্দেশনা দিবেন, তাই মেনে নেয়া হবে।
জেইউ/এএইচ/এমএস