যা বলছেন বাসচালকরা
রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে এই সড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচলা বন্ধ রয়েছে। রাস্তার দু’ধারে থেমে থাকা বাসচালকদের অনেকেই বাস থেকে শিক্ষার্থীদের এসব আন্দোলন দেখছিলেন। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। তারাও নিরাপদ সড়ক চান। তবে নিজেদের খুনি মানতে নারাজ এসব চালক।
তারা বলেন, চালকদের যেমন দোষ আছে তেমনি নির্দোষ নন সাধারণ পথচারীরাও। তাদের মতে, সবার আগে সিস্টেম বদলানো চাই।
স্কাইলাইন পরিবহনের বাসচালক মো. সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেখুন, রাস্তায় যদি সিস্টেম চালু করা হয় আর সেটা যদি সবাই মিলে মানি তাহলে সড়ক নিরাপদ হবে।’
এই চালকের পরামর্শ, রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস স্টপেজ করতে হবে। আবার বাস স্টপেজগুলো দুই ভাগে ভাগ থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রথম স্টপেজে যাত্রী নামবে। সেখানে থেকে একটু সামনে থাকতে হবে যাত্রী ওঠানোর স্টপেজ।
সোহেলের সঙ্গে যোগ দেন হৃদয় নামে আরেক চালক। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো হয় সব বাস কাউন্টার সিস্টেম চালু করা। তাহলে অনেক শৃঙ্খলা আসবে।’
চালকরা অযৌক্তিক প্রতিযোগিতা করেন স্বীকার করে এই চালক বলেন, ‘আমাদের যেমন আইন মেনে গাড়ি চালানো উচিত তেমনি সাধারণ পথচারীদেরও অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। যেখানে ওভারব্রিজ নেই সেখানে সিগন্যাল ছাড়া রাস্তা পার হওয়া যাবে না।’
সু-প্রভাত বাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরেক বাসচালক জাগো নিউজকে বলেন, ‘সু-প্রভাত কোম্পানির প্রায় তিনশ বাস আছে। অথচ তারা যে রুটে চলে (গাজীপুর থেকে সদরঘাট পর্যন্ত) তিনশ স্টপেজই নেই।’
এই চালকের মতে, কোনো কোম্পানির একশর বেশি বাস থাকা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, সু-প্রভাত পরিবহনের বাসচাপায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহতের ঘটনায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ।
সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করছেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিক থেকে রাস্তায় নামে তারা। এতে করে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
একইভাবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রগতি সরণিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকেই ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
জেপি/এসআর/এমএস