রাঙ্গামাটির ঘটনায় মন্ত্রীর নিন্দা ও শোক
রাঙ্গামাটিতে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
তিনি বর্বরোচিত এই হামলার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেনছেন। মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার এক শোক বার্তায় এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেন।
সোমবার রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ৭ জনকে হত্যা করা হয়। এরপর আজ মঙ্গলবার বিলাইছড়ি উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শোক বার্তায় মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ এবং সরকারের সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় বিশেষ কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্থ করতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক, বর্বরোচিত হামলা খুবই নির্মম এবং নিন্দনীয়।
জনমতের প্রতি যাদের ন্যূনতম আস্থা, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ নেই, শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিপরীতে যাদের অবস্থান কেবল তাদের দ্বারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব। হামলাকারীরা শুধু জনগণের শত্রু নয়, এরা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন অগ্রগতিরও শত্রু।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূঢ় নেতৃত্ব এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর পার্বত্য অঞ্চলে যে শান্তির সুবাতাস বইছে, পার্বত্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যে আস্থা-বিশ্বাস ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে চলমান শান্তি প্রক্রিয়া দেশে-বিদেশে যেভাবে প্রশংসিত হয়েছে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও নস্যাৎ করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। মন্ত্রী অবিলম্বে ন্যাক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এফএইচএস/এনএফ/এমএস