ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল না, দাবি সিইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচনকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলায় নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহতের ঘটনায় আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো ঘাটতি ছিল না বলে দাবি করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মো. নুরুল হুদা।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘নিরাপত্তায় গাফিলতি ছিল না। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিলাম। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সবাই ছিল। তারা (নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী) যখন মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল, বিজিবির গাড়ি সামনে প্রটেকশন দিচ্ছিল। যারা পেছনে ছিল, তাদের আক্রমণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের যে জায়গায় আক্রমণ হয়েছে সেখানে এত সংকীর্ণ রাস্তা, একবার এগিয়ে গেলে ঘুরিয়ে আবার আসা যায় না। এজন্য প্রটেকশনের যে গাড়িগুলো ছিল, সেগুলো সামনে চলে গিয়েছিল। দুষ্কৃতকারীরা সুযোগ বুঝে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করে। অতি তাড়াতাড়ি আক্রমণ করে তারা চলে গিয়েছিল। এখানে নিরাপত্তার কোনো অভাব ছিল না।’

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিইসি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান। এসময় তিনি আহতদের অবস্থা সরেজমিনে দেখেন। আহতদের কয়েকজনের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন।

সে সময় তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক যে, যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের ওপর রাতের অন্ধকারে হামলা করা হলো। এর সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের খুঁজে বের করা হবে। এখনও কারা দায়ী বা ঘটনা কেন ঘটল, আমরা সেটা জানি না। আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত হবে, তদন্তে যারা দায়ী তাদের বের করা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রসঙ্গত, গতকাল নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনকর্মীদের ওপর দুর্বৃত্তের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ৭ জন। গুরুতর আহত ৭ জনকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই আজ সকাল ৯টার দিকে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা।

আবু আজাদ/এনএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন