ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সম্প্রসারিত ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়ন নিয়ে কী ভাবছে ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ১৬ মার্চ ২০১৯

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ নির্মাণ, যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশকিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা সংবলিত একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করেছিলেন ডিএনসিসির সদ্যবিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম। কিন্তু তিনি সেই প্রেজেন্টেশন কর্তকর্তাদের দেখাতে পারেননি।

এ প্রেজেন্টেশনের একটি কপি থেকে জানা গেছে, (ফেজ-১) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬১ দশমিক ৭২ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যান চলাচলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও যানজট নিরসন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২২২ দশমিক ৮২ কিলোমিটার নর্দমা স্থাপন এবং ২৮ দশমিক ৫১ কিলোমিটার খাল উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করা হবে। এ ছাড়া যান ও পথচারী চলাচলের সুবিধার্থে পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির ১১ হাজার ২২৪ সংখ্যক এলইডি বাতি রাস্তায় স্থাপনের মাধ্যেমে কার্বন নিঃসরণ ও বিদ্যুৎ অপচয় হ্রাস করানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

এর আগে গত বছর ডিএনসিসির সম্প্রসারিত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জায়গার সন্ধান চেয়েছিল সংস্থাটি। সিদ্ধান্ত মোতাবেক নবগঠিত প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঈদগাহ, শিশুপার্ক, কমপক্ষে তিনটি বর্জ্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস), তিনটি পাবলিক টয়লেট এবং ওয়াসার পাম্প-বিদ্যুতের উপকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৩ দশমিক এক একর জায়গার প্রয়োজন হবে। তাছাড়া নবগঠিত পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটির জন্য একটি আঞ্চলিক কার্যালয়, কমপক্ষে একটি কমিউনিটি সেন্টার, একটি আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার, একটি কেন্দ্রীয় এসটিএস, একটি শিশু পার্ক, একটি কবরস্থান, একটি শ্মশান ঘাট, একটি মার্কেট, কমপক্ষে একটি ঈদগাহ ও একটি সাংস্কৃতিককেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ২৫ দশমিক ৪০ একর জায়গার প্রয়োজন হবে। সম্প্রসারিত এলাকাগুলোর জন্য একটি স্থায়ী পশুর হাট ও একটি ল্যান্ডফিলও স্থাপন করা হবে। এ জন্য আরও বেশকিছু জায়গার প্রয়োজন পড়বে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ মে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আটটি করে ইউনিয়ন যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডকে ১০টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।

এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়।

অপরদিকে ডিএনসিসির অন্তর্ভুক্ত বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, বেরাঈদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। সম্প্রতি নির্বাচনে এ ওয়ার্ডগুলোতে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এএস/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন