বোয়িংয়ের বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বেবিচক
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের উড়োজাহাজ কেনা বা লিজের অনুমতি দেবে না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ও লায়ন এয়ারের ম্যাক্স উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের এই রেগুলেটরি বোর্ড (বেবিচক) সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকবে বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বেবিচকের মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের কোনো বিমান পরিবহন সংস্থা বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান ব্যবহার করে না। বর্তমানে কোনো বিদেশি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ব্যবহার করছে না। এ ব্যাপারে সিভিল এভিয়েশন সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
জানা গেছে, বিশ্বের সর্বাধুনিক এয়ারক্রাফট হিসেবে আগামী বছর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ যুক্ত হওয়ার কথা ছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি একটি এয়ারলাইনসের বহরে। যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক এয়ারক্রাফট লিজিং কোম্পানি এয়ারক্যাপ মিলে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সরবরাহ করার কথা থাকলেও এখন আর সেটি হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই দুর্ঘটনার পর ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ উড়োজাহাজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক’দিন ধরে একের পর এক বিভিন্ন এয়ারলাইনস বহরে থাকা ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ সিরিজের উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর, চীন, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া ও অস্ট্রেলিয়া রয়েছে। এ ছাড়া ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস, ব্রিটিশ কেইম্যান এয়ারওয়েজ, সাউথ আফ্রিকার কোমএয়ার, ব্রাজিলের গোল এয়ারলাইনস, মেক্সিকোর অ্যারোমেক্সিকো ও আর্জেন্টিনার অ্যারোলিনেয়াস আর্জেন্টিনাস, নরওয়েজিয়ান এয়ার, টুই এয়ারওয়েজ, শেনজেন এয়ারলাইনস, এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস, চায়না সাউদার্ন, হাইনান এয়ারলাইনস, সাংহাই এয়ারলাইনস, জিংমেন এয়ারলাইনস, শ্যানডং এয়ারলাইনস, ওকে এয়ারওয়েজ, কুনমিং এয়ারলাইনস, গরুড় ইন্দোনেশিয়া, লায়ন এয়ার ও সিল্ক এয়ার তাদের বহরের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। অসংখ্য এয়ারলাইনস বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের দেয়া অর্ডার বাতিল করতে শুরু করেছে।
আরএম/এমবিআর/পিআর