৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের হাসপাতাল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ফুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ-সংক্রান্ত প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে খরচ হবে ৩৭৯ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা। পুরোটাই অর্থায়ন করছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদফতর। এ প্রকল্প চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমান পাঁচতলা সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ভবনটি ১৬ তলা করা হবে। ১ হাজার ৭০০টি বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সংগ্রহ করা হবে। চারটি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১১টি যানবাহন কেনা, নয়টি লিফট, দুই হাজার কেভিএ সাব-স্টেশন ও ৪০০ কেভিএ জেনারেটর, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ৫০০ বর্গকিলোমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা তৈরি করা, ২ হাজার ৬৫৭ বর্গমিটার কম্পাউন্ড ড্রেন করাসহ বেশকিছু কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য এই প্রকল্প। কর্মচারী বলতে আপনারা শুধু চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মনে করবেন না। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারাও আছেন। সরকারি সব কর্মচারী এই সেবা পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ফুলবাড়িয়ায় একটা হাসপাতাল ছিল। প্রধানমন্ত্রী সেটাকে ভেঙে নতুন করে সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটা হাসপাতাল বানিয়েছিলেন। যেহেতু আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, আয় বাড়ছে। সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য আমাদের সরকার খুবই আগ্রহী। সেই আলোকে এটাকে আমরা নতুন করে আরও বড় করব, প্রসারিত করব, সুন্দর করব। সেবাও ভালো হবে বলে আমরা আশা করি। এই হাসপাতালকে আমরা ৫০০ শয্যায় উন্নীত করব। জায়গাটা পুরনো, কাজটা নতুন হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা অনেকের কাছে প্রশ্ন ছিল- হাসপাতাল কেন জনপ্রশাসন করে? এটা ঐতিহাসিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। আমরা এর ভালো-মন্দে যাচ্ছি না। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও কোনো আপত্তি নেই।’
পিডি/এমবিআর/এমএস