ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অর্থ মন্ত্রণালয়ে ৩৩ খাতে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩৩টি খাতে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন ২১ দফা সুপারিশ পেশ করেছে বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।

সোমবার (১১ মার্চ) শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘সরকারি সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াকে পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে ঘুষ-দুর্নীতি, দীর্ঘসূত্রতা এবং জনহয়রানি বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত টিম এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।’

তিনি বলেন, কমিশন ২০১৭ সালে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে। প্রতিটি টিমকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ অপচয়ের দিকসমূহ ও বিশ্লেষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সফলতা ও সীমাবদ্ধতা, আইনি জটিলতা, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি ও দুর্নীতির কারণসমূহ চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনে প্রস্তাব পেশ করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার আলোকে গত ৩ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে এবং ২০১৮ সালে কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড এক্সসাইজ ও আয়কর বিভাগ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট টিমসমূহ এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির উৎসসমূহ চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে সুপারিশমালা প্রণয়নপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন পেশ করে। কমিশন আলোচনা-পর্যালোচনা করে বাস্তবসম্মত কয়েকটি সুপারিশ সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশন বিশ্বাস করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন যোগ্য, যা অবশ্যই এসব দফতরে সরকারি পরিষেবা প্রদানে ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করতে পারে। অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদন কমিশনের বিচার-বিশ্লেষণ পর্যায়ে রয়েছে।

এমইউএইচ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন