জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ সময়ের দাবি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা সময়ের দাবি। বিদ্যুৎখাতে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০৪০ সালের মধ্যে ৭১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম অর্থায়ন, পরিকল্পনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যথাযথ প্রযুক্তির ব্যবহার। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রোববার ঢাকায় একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘পাওয়ার অ্যান্ড ইনার্জি সেক্টর : ইমিডিয়েট ইস্যুজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সবাই কম মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চায় অথচ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনা করে। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। যথাযথ ফুয়েল মিক্সের মাধ্যমে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে মূল্যে রাখা হবে।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির পরিচালক (গবেষণা) ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ প্রবন্ধে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাফল্য-ব্যর্থতা, সম্ভাবনা ও করণীয় উঠে আসে।
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সমতা, বিদ্যুৎখাত ও অন্যান্য খাতে এলএনজি ব্যবহারের ভারসাম্য, একক প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা হ্রাস, প্রতিবেশী দেশ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানির ভারসাম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
সিপিডি চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি ড. এম তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর বদরুল ইমাম, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বক্তব্য রাখেন।
এমইউ/বিএ/পিআর