জলে গেল ১২০ কোটি টাকা!
ভবিষ্যৎ পরিণতির কথা না ভেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে ব্যয় করা হয় ১২০ কোটি টাকা। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে মাদারীপুর বা শরীয়তপুর বাদ দিয়ে ঢাকার আশপাশে জমি খোঁজার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে জলে গেছে সরকারের ১২০ কোটি টাকা! মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন >> ঢাকাতেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে জাজিরা ও শিবচরে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েই। আগামী জুনের মধ্যে ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সব কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই সম্প্রতি জাপানি ওই প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন জমা দেয়। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি নিপ্পন কোয়েইকে নতুন জায়গা বের করতে বলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা, যা কোনো কাজেই লাগল না।
নতুন করে এ প্রকল্প ব্যয়ের ভার বহন করতে হবে সরকারকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ ও তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদকে বাধা হিসেবে বিবেচনা করেছে। এ কারণে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে করা যাচ্ছে না বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প। তবে প্রকল্পে ব্যয় হওয়া পুরো অর্থ জলে যাবে না। এ খাতে ব্যয় কিছুটা বাড়তেও পারে।’
জানা গেছে, খাসজমির সংকট ও ঘনবসতির কারণে স্থানীয়রা তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদের বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। এ কারণে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে মাদারীপুর বা শরীয়তপুর বাদ দিয়ে ঢাকার আশপাশে জমি খোঁজার নির্দেশ দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য ঢাকাতেই জমি খোঁজা শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
আরএম/এসআর/এমএআর/পিআর