২০তলা পর্যন্ত আগুন নেভাতে সক্ষম ফায়ার সার্ভিস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০তলা পর্যন্ত ভবনের আগুন নেভানো ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা অর্জন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১০টি উচুঁ মই (এরিয়াল প্ল্যাটফর্ম লেডার) আমদানি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে উল্লিখিত উচ্চতার বিল্ডিংয়ের দুর্যোগে ব্যবহার করা যায়।
বুধবার জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগরের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিবছর ১০ মার্চ জাতীয় দুযোর্গ প্রস্তুতি দিবস এবং ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মার্কেট, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়ার আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগের প্রস্তুতি, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য নগর স্বেচ্ছাসেবকসহ বাংলাদেশ স্কাউট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিসি), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গার্লস গাইড, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ইত্যাদি সংস্থার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল সব সময় প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কাউট শিক্ষককে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়া আয়োজনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়ার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ কবলিত জনগণকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে সরবরাহ করা হয়েছে।
চীনের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অনুদান হিসেবে দুযোর্গ ব্যবস্থানা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরশেনসহ কয়েকটি মহানগরীতে আপদকালীন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ভূমিকম্প সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠান ও সংবাদ রিপোর্টিং এবং ভূমিকম্প মোকাবেলায় করণীয় সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
এইচএস/জেএইচ/এমকেএইচ