ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লিবিয়ায় উদ্ধার বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশিত: ০৩:৪৬ এএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

লিবিয়ায় উপকূলের কাছে প্রায় পাঁচশ’ অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে ডুবে যাওয়া দুটি নৌকায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ সাতজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। আর এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার ৪৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।

বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। যদিও প্রথমদিকে ৮ জন বাংলাদেশি নিহতের কথা জানা যায়।

তবে দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, লিবীয় উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা দু’টিতে বিভিন্ন দেশের কয়েকশ’ অভিবাসন প্রত্যাশীর সাথে শিশু এবং নারীসহ ৫৪ জন বাংলাদেশি ছিল। এর মধ্যে ৪৭ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

যদিও শিশুসহ নিহত সাতজন বাংলাদেশির মৃতদেহ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেখতে দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। কারণ মৃতদেহ দেখার জন্য এখনো কোন বিদেশি কূটনীতিককে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, জীবিত উদ্ধার বাংলাদেশিদের মধ্যে নারীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের হেফাজতে নেয়া সম্ভব হয়েছে। বাকিরা ত্রিপোলি কর্তৃপক্ষের ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছে। এখন এই বাংলাদেশিদের দেশের ফেরত আনতে আইওএম এর সহায়তা নেয়া হবে।

আশরাফুল ইসলাম জানান, লিবিয়ার বর্তমান নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির কারণে এই বাংলাদেশিরা ইউরোপে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, নিরাপদ ও উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়ায় বসবাসরত বিদেশিরা আগে থেকেই ওই দেশ ছাড়ছিলেন, তবে পরিবারসহ বাংলাদেশিরা লিবিয়া ছাড়ার চেষ্টা করছেন এমনটা প্রথমবারের মতো ঘটেছে।

এদিকে জাতিসংঘ সম্প্রতি ইউরোপ যাবার পথে শত শত অভিবাসী প্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনা এবং পরিস্থিতিকে সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু ঠেকাতে ইউরোপের দেশগুলোকে সতর্কতার সাথে যৌথভাবে একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য নিরাপদ এবং আইনগত পথ বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবারই লিবীয় উপকূলে কয়েকশ’ অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে নৌকা ডুবেছে। অস্ট্র্রিয়ার পরিত্যক্ত এক লরিতে ৭১ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

# লিবিয়ায় নৌকাডুবি : ৮ বাংলাদেশি নিহত

এসএইচএস/এমএস