মনসুর-মোকাব্বিরের শপথ ৭ মার্চ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের জয়ী দুই প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খানকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য আগামী ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সময় দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই দিন বেলা ১১টায় তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে গণফোরামের বিজয়ী দুই সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন মর্মে সংসদে চিঠি দেন।
এ বিষয়ে স্পিকারের একান্ত সচিব এমএ কামাল বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, গণফোরামের ওই দুজনকে শপথ পড়ানোর জন্য সময় দিয়েছেন স্পিকার স্যার। আগামী ৭ মার্চ বেলা ১১টায় তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে গণফোরামের দুই সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, তারা শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা স্পিকারকে গত শনিবারই চিঠি দিয়েছেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হলেও বিএনপিসহ তাদের জোট থেকে মোট ৮ জন নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মোকাব্বির খান জললাভ করেন।
সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং মোকাব্বির খান সিলেট-২ আসনে উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।
একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। শপথগ্রহণের পর নতুন সরকারে সংসদ অধিবেশন শুরু হলেও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত ৮ সদস্য এখনও শপথ নেননি।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর পর পরবর্তি ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ না নিলে তার আসন শূন্য হয়ে যায়। সেই হিসেবে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যারা শপথ না নেবেন তাদের আসন শূন্য হয়ে যাবে।
এইচএস/আরএস/জেআইএম