যে কোনো স্থাপনা দেশের জলবায়ু উপযোগী হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তা যেন দেশের জলবায়ু উপযোগী হয়। আমাদের দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া, গরম, লোনা এবং আদ্রতা সব কিছু মাথায় রেখেই স্থাপনা নির্মাণ করবেন।
তিনি বলেন, প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য আমরা আলাদা আলাদা বরাদ্দ রাখছি। এই বরাদ্দ কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রকৌশলীদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই।
আজ (শনিবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-বাংলাদেশের (আইইবি) চার দিনব্যাপী ৫৯তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম ক্ষমতায় এসে দেখে আগের সরকারগুলোর সময় বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ন এবং গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হতো না। যে কারণে দেশ পিছিয়ে ছিল। আমরা দেশের উন্নয়নে প্রতি বছর বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখছি। যে কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, নতুন নতুন গবেষণার ফলে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ধান, শাক-সবজি চাষ হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়েও আমরা বাইরে রফতানি করতে পারছি। এ কারণে ভবিষ্যতে আমরা কৃষিজাত শিল্পের দিকে গুরুত্ব দিতে চাই। কারণ পৃথিবী যতদিন থাকবে খাদ্যেরও ততদিন প্রয়োজন আছে। খাদ্যের চাহিদা কোনো দিন ফুরাবে না।
দেশের সব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দ্রুত এবং উন্নত করার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সব বিভাগ এবং জেলার যোগাযোগ দ্রুত করতে চাই। এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে বুলেট ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা করছি। সারাদেশেই রেলযোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের এ অগ্রযাত্রা কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যোগযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আমরা বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
এফএইচএস/এমএমজেড/জেআইএম