নিচে কারখানা, লালবাগে ৮ ভবনের গ্যাস-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
আবাসিক ভবনের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যালের কারখানা থাকায় লালবাগের শহীদনগরের আটটি ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) গঠিত টাস্কফোর্স।
শনিবার শহীদনগরের বউবাজারের ‘অতিদাহ্য প্লাস্টিক ও পিভিসি’ কারখানায় অভিযান চালায় এ টাস্কফোর্স।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণ শিরিন সাংবাদিকদের বলেন, আটটি বাড়িতে অতিদাহ্য পদার্থ পাওয়ায় এসব কারখানা এবং ভবনের ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের এর আগেও নোটিশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা গুদাম সরায়নি। আজ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। তাদের কারখানা সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারখানা না সরালে পরবর্তীতে আরও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদনগরের ২৫২ নম্বর, ২৯২/২, ২৯ এবং ৪ নম্বর ভবনে জুতা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়াও কারখানাগুলোতে প্লাস্টিকের গুড়া, প্লাস্টিক ও বোতল ছড়িয়ে আছে।
কারখানার মালিকরা অনুমোদন থাকার কথা বললেও এর স্বপক্ষে তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এই কারখানার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছন্ন করা হয়। ২৯০/২ নম্বরের শহীদনগরের ভবনের নিচে কারখানায় স্পিরিটের মজুত পেয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৭১ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে কেমিক্যালকেই দায়ী করা হচ্ছে।
তাই পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে কেমিক্যাল সরানোর নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে টাস্কফোর্স গঠন করে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আবাসিক ভবন থেকে কেমিক্যাল সরানোর অভিযান।
অভিযানের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদনগর এলাকায় ১৩টি ও ইসলামবাগ এলাকার আটটি ভবনের গ্যাস, পানি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এআর/বিএ/এমএস