মিয়ানমারকে পরাজিত করায় বাংলাদেশ দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
মিয়ানমারকে পরাজিত করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী জাতীয় ফুটবল দল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি এ অভিনন্দন জানান। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্ব আবার ‘ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ ২০২০’ এর বাছাইপর্বও বটে। কারণ এখান থেকে সেরা তিনটি দল খেলবে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে।
ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপের (২০২০) আয়োজক দেশ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হয়নি দিনক্ষণও। কিন্তু এই বিশ্বকাপে যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাপী। যে দৌড়ে আছে বাংলাদেশের মেয়েরাও। ইতিমধ্যে দুই ধাপ পেরিয়ে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা উঠে গেছে এশিয়ান বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্বে।
শুক্রবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের বাধা টপকেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ার সেরা ৮ দলের কাতারে উঠে গেছেন মারিয়া-তহুরারা।
আগামী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বসবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব। ২০১৭ সালেও চূড়ান্ত পর্ব বসেছিল থাইল্যান্ডে। যা ছিল বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলেরও চূড়ান্ত বাছাই।
চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া ও তৃতীয় জাপান উঠেছিল উরুগুয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। ওই আসরে খেলেছি বাংলাদেশের মেয়েরা। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল উত্তর কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ৯-০ গোলে হেরেছিল উত্তর কোরিয়ার কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের কাছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা হেরেছিল ৩-০ গোলে। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা চমক দেখিয়েছিল শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তীব্র লড়াই করে হেরেছিল ৩-২ গোলে।
এবার স্বাগতিক থাইল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলবে গত আসরের শীর্ষ ৩ দল উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। আর বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব থেকে উঠবে চার দল। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও চীন নাম লিখেছে এশিয়ার সেরা ৮ দলের তালিকায়। অন্য গ্রুপ থেকে উঠবে দুই দল।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ‘এ’ গ্রুপের খেলা শুরু হবে ৩ মার্চ। যেখানে আছে অস্ট্রেলিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও ইরান।
২০২০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে আছে ভারত ও ফ্রন্স। ফিফার পরবর্তী কাউন্সিলে চূড়ান্ত হবে কোন দেশ আয়োজন করে নারী অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে খেলবে ১৬ দেশ। যার মধ্যে এশিয়ার তিনটি। বাংলাদেশের মেয়েরা এশিয়ার সেরা ৮ এ থাকলে তিনে চোখ তো রাখতেই পারে। যদিও লক্ষ্যটা কঠিন বাংলাদেশের জন্য।
এইউএ/এসআর/এমবিআর