ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল সরাতে মাইকিং, শুরু হচ্ছে বিশেষ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পুরান ঢাকার আবাসিক ভবন থেকে ক্ষতিকারক কেমিক্যালের গোডাউন সরানোর জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। অন্যথায় ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার পুরান ঢাকার চাঁনখারপুল, বকশিবাজার, স্যার নাজিমুদ্দীন রোড, বাবুবাজার, বংশাল এলাকায় রিকশাযোগে মাইকিং করা হয়।

মাইকিংয়ে বলা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এলাকার জনগণের নিরাপত্তার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অত্র এলাকার কেমিক্যাল সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে। এই নির্দেশনা অমান্য করা হলে বাড়ির মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও কোনো কেমিক্যালের গোডাউন থাকলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কন্ট্রোল রুম ‘৯৫৫৬০১৪’ নম্বরে জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, অভিযান চালাতে গেলে অনেকে বলে যে তারা সময়সীমার বিষয়ে জানতো না। তাই পুরান ঢাকায় মাইকিং করে সবাইকে অভিযানের বিষয়ে অবগত করা হচ্ছে।

এর আগে সোমবার এক যৌথ সভায় ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে ফেলতে সিটি কর্পোরেশন গঠিত টাস্কফোর্স ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে নামছে। দুই স্তরবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রথম স্তরটি উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট এবং দ্বিতীয় স্তরটি মাঠ পর্যায়ের। প্রথম স্তর থাকবে পরিকল্পনা প্রণয়নে সব সংস্থার প্রধানরা আর দ্বিতীয় স্তরে থাকবে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংস্থার প্রতিনিধিরা যেমন ম্যাজিস্ট্রেট, ওসি, কমিশনার, ব্যবসায়ী প্রমুখ।

এর আগে বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬৯ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে কেমিক্যালকেই দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকেই পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে কেমিক্যাল সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।

এআর/জেএইচ/পিআর

আরও পড়ুন