ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভিসা নেই, ফ্লাইট কবে জানেন না হজযাত্রীরা

প্রকাশিত: ১১:৪৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৫

নওগার পাতারী গ্রামের মো. ইব্রাহীম। গত ১৮ আগস্ট গ্রাম থেকে হজে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার স্থায়ী হজক্যাম্পে আসেন। পরদিনই জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবার কথা ছিল তার। তবে ক্যাম্পে ১০ দিন থাকার পরেও যানেন না তার ফ্লাইটের সময়।

সরেজমিন হজক্যাম্পে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেল। ইব্রাহীমের মতো শত শত মুসল্লি অপেক্ষা করছেন হজে যাবার জন্য। তবে তাদের ফ্লাইটের তারিখটিই জানাতে পারছে না ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।

ইব্রাহীমের মতো নওগার পাতারী গ্রাম থেকে এসেছেন মোট ৪৫ জন। তাদের মধ্যে ৩৮ জন পাসপোর্ট ও ভিসা পেয়ে হজের উদ্দেশে রওনা হলেও বাকি সাতজনের যাওয়ার তারিখ জানেন না কেউ।

ইব্রাহীম জাগো নিউজকে বলেন, হজে যাওয়ার জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। তবে আমাদের রেখে ভিসা পাওয়া ৩৮ জনের দলের সঙ্গে মোয়াল্লেমও সৌদি চলে গেছেন। ঢাকায় আত্মীয়স্বজন নেই। ১০ দিন ধরে নিজের টাকায় খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকাও শেষ হয়ে আসছে। তবুও ফ্লাইটের সময়টা জানলে একটু শান্তি পেতাম।

ইব্রাহীমের হজ এজেন্সি এন আইডিয়াল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ভিসা পাওয়া সাপেক্ষে রোববার (৩০ আগস্ট) সাতজনকে নিয়ে জেদ্দায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারিখ কিংবা ফ্লাইটের সময় এখনো নিশ্চিত নয়।


হজক্যাম্পের ক্যান্টিনে একবেলা পেটপুরে খেতে খরচ হয় ৯০ থেকে ১০০ টাকা। দিনের পর দিন খাবার কিনে খেতে অভাবেই পড়েছেন হজে গমনেচ্ছুকরা।

এমএম ট্রাভেলসের পরিচালক মো. নুরুন্নবী জাগো নিউজকে জানান, ১৫ মার্চ ৫০ জনের মোয়াল্লেম ফি জমা দেয়ার পরেও এখনো তাদের ভিসা পাইনি। পাসপোর্ট ফেরত পাইনি। হাজিদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি না। ভিসা কবে দেয়া হবে জিজ্ঞেস করলে হজক্যাম্পের কর্মকর্তা ‘হবে’ বলে আশ্বাস দেন।

সাতদিন হজক্যাম্পে থাকা বগুড়ার আইনুল ইসলাম জানান, দিনে তিন থেকে সাড়ে তিনশ` টাকা খরচ হয় শুধু খাওয়াতে। হজে কোরবানি দেয়ার টাকা থেকে খাবারের খরচ দিতে হচ্ছে। হজক্যাম্প কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা না করা হয় তবে হজে গিয়েও কোরবানি দিতে পারবো না আমরা।

এদিকে অপেক্ষমাণ এসব যাত্রীর হজে যাওয়ার দিনক্ষণ জানতে তথ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে তথ্য কর্মকর্তা কবির জানান, ই-ভিসা এবং ডাটা এন্ট্রির সময় কিছু ভুলত্রুটির কারণে এবার ভিসা প্রদানে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাই একই এজেন্সির অনেকে ভিসা পাচ্ছেন অনেকে আবার পাচ্ছেন না। তবে আশা করছি দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান করা হবে।


হজক্যাম্পের আইটি হেল্প ডেস্কের হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ৮২ হাজার ৪৫ হজযাত্রী ভিসা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে এ বছর এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন দুই হাজার ৬০০ এবং ৯৯ হাজার ১৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।

গত ১৬ আগস্ট থেকে হজযাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শুরু হয়। বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্সও হজযাত্রী পরিবহন করছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়ংশ যাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।

## জীবন ট্রাভেলসের খোঁজে হজক্যাম্পে হায়দার
## গাইড ছাড়াই সৌদি যেতে হচ্ছে হজযাত্রীদের
## ১২ দিনে সৌদি গেছেন এক-তৃতীয়াংশ হজযাত্রী

এআর/বিএ