শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে মার্চের মধ্যে ইইইউ’র সঙ্গে সমঝোতা
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী মার্চের মধ্যে আমরা ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইইইউ) সঙ্গে সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবো। এর মাধ্যমে রাশিয়াসহ ইউনিয়নের ৫টি দেশে (রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন, আজারবাইজান ও আরমানিয়া) শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবো। এতে করে রফতানি পণ্যের জন্য একটি নতুন বাজার তৈরি হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার দফতের ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইগনাটোভের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) সফিকুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের ৫টি দেশে প্রায় ১৮ কোটি লোক বসবাস করে। মার্চে তাদের সঙ্গে এমওইউ বা সমঝতা চুক্তি স্বাক্ষর হলে আমাদের নতুন একটি বাজার সৃষ্টি হবে। আমরা ইতোমধ্যে রাশিয়ায় চা, কাঁচা পাট, চামড়া, ফুটওয়্যার, মটরপাটর্স, তামাক ইত্যাদি পণ্য রফতানি করে থাকি। এসব পণ্য রফতানিতে উচ্চ শুল্ক দিতে হয়। এমওইউ’র ফলে আমারা ইউরেশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবো।
তিনি আরও বলেন, আগে আমরা রাশিয়াতে আলু রফতানি করতাম। কিন্তু বর্তমানে রফতানি করতে পারছি না। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতেরর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আবার আলু নিতে চায় তবে রফতানির আগে ভালোমত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাঠাতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার পরপর তারা আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাশিয়াকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওযার বিষয়টি স্পষ্ট করতে বললে, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জিএসপি সুবিধা না থাকলেও তাদের বাজারে পণ্য পাঠাতে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু বর্তামনে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের দেশসমূহে পণ্য রফতানি করলে ৩০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এমওইউ স্বাক্ষর হলে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার পথে আমরা এগিয়ে যাবো।
এমইউএইচ/এমবিআর/জেআইএম/এমএস