‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আপনাদের বিদেশ যেতে হতো না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আপনাদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। বাংলাদেশেই আপনাদের কর্মসংস্থান হতো। বহু আগেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড়াত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তারা দেশের মানুষের চাইতে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। ফলে দেশ ও দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এন আর বি ইঞ্জিনিয়ার্সদের দুই দিনব্যাপী কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ই আর ডি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ। বক্তব্য দেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, কনভেনশনের আহ্বায়ক আজাদুল হক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবসময় প্রবাসীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীদের মধ্যে যারা দেশে কাজ করতে চান তাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রাধিকার দিয়েছি। বেসরকারি খাতে বিমান ও হেলিকপ্টার সার্ভিস আমরাই প্রথম দিয়েছি। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে সারাদেশে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি।
তিনটি এনআরবি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছি। এসব অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা করে বাংলাদেশকে রফতানিমুখী একটি রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারি। যে যে অঞ্চলে যেসব কাঁচামাল উৎপাদন হয় সেসব অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট কাঁচামালভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে পারে। পাট, কৃষিজাত পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তুলে তৈরি পণ্য বিদেশে রফতানি করা যেতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটালের কারণে আজ বাংলাদেশ অনলাইনে বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। কোরবানির গরু এখন অনলাইনে বেচাকেনা হচ্ছে। বর্তমানে আমরা ২০ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। একটি বাড়ি, একটি খামার, আমার বাড়ি আমার খামারসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ উপকার পাচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান অত্যন্ত খরস্রোতা নদী। পদ্মা নদীর উপর আমরা নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ করতে পারছি। এই পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি এবং ট্রেন চলবে। ঢাকা মহানগরীর সঙ্গে ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-বরিশাল দ্রুতগামী ট্রেন-বাস চলাচলে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সব অ্যাডহকভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করতেন। আমরাই প্রথমবার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এরপর ষষ্ঠ এবং এখন সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছি। এখন আমরা ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ ছাড়াও আমরা ২১০০ সালের ডেল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। নেদারল্যান্ডস সরকারের সঙ্গে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
এফএইচএস/জেডএ/এমএস