জিপিএসের সাহায্যে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে স্থাপনা উচ্ছেদ
জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার সচিবালয়ে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশের (এসআরএফবি) সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নদীর সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করব। এ বিষয়ে যারা এক্সপার্ট অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তাদের সঙ্গে বসব। তাদের কাছ থেকে একটা ধারণাপত্র নিয়ে নদীর সীমানা নির্ধারণ করব। যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ম্যানুয়ালি আমরা যেটা (নদীর সীমানা নির্ধারণ) করছি, দেখা যাচ্ছে এতে কারো ক্ষতি (নদীর সীমানায় না হয়ে উচ্ছেদ) হতে পারে। তাই এ কাজটি আমরা ম্যানুয়ালি না করে ডিজিটালাইজ উপায়ে করব। আমরা যেহেতু এ ধরনের সক্ষমতা অর্জন করেছি।’
‘এটা করলে নদীর পাড় দখল-বেদখল, মালিকানা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন উঠবে না’বলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোন সময়ের নদী ধরে সীমানা নির্ধারণ করব সেই বিষয়ে নদী রক্ষা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে একটা গাইডলাইনও বের করব।’
নদী দখল করে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় স্থাপনা করা হয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে নদী দখল করে ৪৬টি মসজিদ করা হয়েছে। এই মসজিদগুলো স্থানাস্তর করা হবে।’
নদীর সীমানা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী দখল মুক্ত করতে কোর্টের অর্ডার আছে সেই অনুযায়ী বিআইডিব্লিউটিএ কাজ করছে এবং করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো বিধি-নিষেধ নেই। আমরা কোর্টের অর্ডার ফলো করছি।’
নদীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’অবস্থায় বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথ নিয়ে মাস্টারপ্ল্যানটি অনুমোদন হয়ে গেলে চারটি স্টেপে এটা বাস্তবায়ন করব। এটা নিয়ে যারা কাজ করবে তাদের সিউলে পাঠাতে হবে। সিউলের নদীটা বুড়িগঙ্গার চেয়েও খারাপ ছিল, সেই নদীর পানি এখন খাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।’
সব ঘাট উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রী সেবার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দেব। টাকার জন্য যাতে যাত্রীদের হয়রানি না হয়।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক নিউজ হলে আমার কোনো আপত্তি নেই। গণমাধ্যম আমাদের কাজের গতিশীলতা ও স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
আলোচনায় বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার ও ফেরি সার্ভিসের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং ওয়াটারবাস চালু, বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং, সদরঘাটের ইজারা প্রথা ও লেবার হ্যান্ডলিং, স্পিডবোট চলাচল, নৌপরিবহন অধিদফতরের জাহাজের নকশা অনুমোদন, সার্ভে ও বিভিন্ন পরীক্ষার অনিয়ম, গভীর সমুদ্রবন্দর, তিন সমুদ্রবন্দরকে আরও গতিশীল করার বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
এ সময়ে এসআরএফবির সভাপতি রাশেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতা এবং ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এনডিএস/পিআর