ভিন্ন পথে অস্ত্র বিমানে উঠল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : বেবিচক
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে কোনোভাবেই অস্ত্রধারীর এয়ারক্রাফটে ওঠা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান। ঘটনার পরপরই জরুরি বৈঠক করে বেবিচক। পরে বৈঠকের ফলাফল জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা অবাক হয়েছি বটে। কারণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা খুবই জোরদার। এখানে কেউ একটি সুঁইও নজরের বাইরে নিতে পারবে না। এটি (অস্ত্র) বাইরের কোনো পথে এয়ারক্রাফটে পৌঁছে দেয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুবাইগামী ফ্লাইট ছিনতাইকারী পরাভূত হন। বিমানের ভেতরে থাকা কেবিন ক্রুকে উদ্ধার ও ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিট ও পুলিশের সোয়াত টিম।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম আসার পথেই এক ছিনতাইকারী পিস্তল হাতে বিমানের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ আমানতে অবতরণ করান।
দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল। তিনি সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভেতরে একজন হাইজ্যাকার আছে। তিনি বাঙালি। হাইজ্যাকার শুরুতে ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু পাইলট কৌশলে তা হতে না দিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করেন।’
আরএম/এসআর