ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল ‘মাহাদি’

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী বিমানের কথিত ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত যুবকের নাম মাহাদি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

কি কারণে মাহাদি বিমান ছিনতাইয়ের অপচেষ্টা চালিয়েছিল তা এখনও ‘অস্পষ্ট’। কথিত সেই ছিনতাইকারী মাহাদি বিমানে দু-তিন রাউন্ড গুলির পর কোনো যাত্রীকে জিম্মি করেনি। সে ক্রুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তবে পাইলট ও ক্রুরা সুকৌশলে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করায়।

বিমানের যাত্রী ওসমান গনি জানান, মাহাদি কোনো যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। বিমানের ভেতর সে একের পর এক সিগারেট ধরিয়ে টানছিল।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রেস ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, যে কোনো বিমান ছিনতাইয়ের পর উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া বাহিনীর প্রথম কাজই হলো ছিনতাইকারীর সঙ্গে কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখা। এ সময়ের মধ্যে গোটা উদ্ধার অভিযানটি কীভাবে পরিচালিত হবে তার পরিকল্পনা করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত যৌথবাহিনীর সদস্যরা মাহাদিকে কথাবার্তায় ব্যস্ত রাখার কাজটি সঠিকভাবে করেছিলেন। কথাবার্তা বলার সময় মাহাদি বার বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন।

কথিত ছিনতাইকারীকে কমান্ডো সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে বললেও সে তা করেনি। ফলশ্রুতিতে কমান্ডোদের সঙ্গে গোলাগুলিতে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ও হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

এমইউ/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন