বিমান ছিনতাইকারী কমান্ডো অভিযানে নিহত
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খী ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী কথিত মাহাদি প্যারা কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছেন। মাত্র আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে তাকে পরাভূত করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনা কমান্ডোরা চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথমে ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারের আহ্বান জানানো হলেও তিনি কমান্ডোদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আমাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে তিনি আহত হন। এরপর বাইরে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, নিহত ছিনতাইকারী নিজেকে মাহাদি হিসেবে দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিজের স্ত্রীর কোনো ফোন নম্বর দিতে পারেননি। সৌভাগ্যবশত চট্টগ্রামে উপস্থিত ছিলেন হলি আর্টিসানের কমান্ডো অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল। তিনি এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। মাত্র আট মিনিটেই অভিযান শেষ হয়। এর আগে ছিনতাইকারীকে কথায় ব্যস্ত রাখেন এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছিনতাইকারীর সঙ্গে শুরু থেকেই কথা বলছিলাম। কথা বলার মাধ্যমে তাকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি। অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার দাবি জানায় আমাদের কাছে। তবে সেনা কমান্ডোদের বিশেষ অভিযানে অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী পরাভূত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি কমান্ডো টিম এবং র্যাব, পুলিশ, সোয়াট ও এপিবিএন সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এ অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল, সঙ্গে ছিলেন র্যাব-৭ এর সিইও।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম আসার পথেই এক ছিনতাইকারী পিস্তল হাতে বিমানের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ আমানতে অবতরণ করান।
দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল। তিনি সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভেতরে একজন হাইজ্যাকার আছে। তিনি বাঙালি। হাইজ্যাকার শুরুতে ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু পাইলট কৌশলে তা হতে না দিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন।’
আবু আজাদ/জেপি/এসএইচএস/পিআর