কেমিক্যাল নয়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড : শিল্পমন্ত্রী
কেমিক্যাল নয়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের দেখতে এসে এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নিমতলীর ঘটনার পর আমরা বসে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে। একটি প্রজেক্ট ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে। আজকের যে ঘটনা সেটা একটি ভিন্ন ঘটনা। এটা কিন্তু কেমিক্যাল সম্পর্কিত কিছুই না।’
সরেজমিন পরিদর্শন করে এসছেন জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দিস ইজ ভেরি ডিফারেন্স স্টোরি। গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট এখানে। হোটেল ছিল সেখানে, গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। চকবাজার বিশাল প্রসিদ্ধ বাজার। এখান থেকে সারাদেশে মার্কেটিং হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে তারা অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে। এটা কেমিক্যালের এরিয়া না। এখানে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই। এখানে কেমিক্যালের কোনো ফ্যাক্টরি নেই। এখানে কোনো গোডাউনও নেই। কসমেটিকস আছে, স্প্রে মেশিন আছে আমি দেখলাম।’
'সেখানে গ্যাসের স্বল্পতা সেজন্য সেগুলো হোটেলে ছিল। এলপিজি যেটা, আমরা তো এটার জন্য সারাদেশে এ মার্কেটিং করছি। আমাদের যে ন্যাচারাল গ্যাস আছে সেটা শিল্পায়নের জন্য দেয়া হচ্ছে’ যোগ করেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে দুঃখজনক ঘটনা যে এখানে অনেকগুলো সিলিন্ডার একসঙ্গে ছিল। এগুলো ব্লাস্ট হয়েছে। একটার ওপর আরেকটা ছিল। আমি নিজেই বাহনটা দেখে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এটি মোকাবেলা করেছি।’
নুরুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট পাস হয়ে গেছে একনেকে। উই আর ওয়েটিং টু শিফট তাদের। দূরে তারা যেতে চায় না। পৈতৃকভাবে ব্যবসাটা তারা করে। তাদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে তারা যেতে চায় না। কাছাকাছি কোনো প্লেসে আমাকে যেতে হবে। ওটা প্রক্রিয়াধীন আমি বলবো না এটা প্রায় শেষ পর্যায়ে।’
এর মধেই আবার তো একটা দুর্ঘটনা ঘটলো, এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘তো, এই শহর ভেঙে আমাকে গুড়িয়ে দিতে হবে। কেমিক্যাল আর এটা কিন্তু এক সঙ্গে মিলিয়ে ফেলবেন না। এটা একটা এক্সিডেন্ট, আমরা এজন্য মর্মাহত।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তা পাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রাত ৩টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২০০ কর্মী। তবে ছোট গলি ও পানির স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৭০টি লাশ উদ্ধার হয়। এ ছাড়া দগ্ধ হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
আরএমএম/এমএএস/এনডিএস/পিআর