বাবার খোঁজে হাসপাতালে যমজ শিশু
পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ আগুনে আল মদিনা মেডিকল ফার্মেসির মালিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফেজ মো. কাওসার আহমেদসহ মোট ৬ জন মারা গেছেন।
কাওসারের বন্ধু সুর্যসেন হলের ছাত্র শরীফুল আলম বলেন, কাওসার মাদরাসায় পড়তেন, কোরআনে হাফেজ ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ কাওসার আহমেদ খুবই মেধাবী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলেন ১৭তম। পড়াশোনার পাশাপাশি চকবাজারে মদিনা মেডিকেল হল ক্লিনিক চালাতেন কাওসার।
বুধবার রাতে চকবাজারে প্রথম যে চারতলা ভবনে আগুন লাগে, তার উল্টোদিকের ভবনে কাওসারের আল মদিনা ফার্মেসি। আগুন ওই ভবনেও ছড়িয়েছিল। তখনও দোকানে কাওসার ছিলেন।
স্ত্রী আর ফুটফুটে যমজ সন্তান নিয়ে সংসার কাওসারের। রয়েছেন মা, বাবা, ভাইসহ আত্মীয়স্বজন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন কাওসারের দুই ভাই, মা এবং স্ত্রী। সঙ্গে ছিল কাওসারের ছয় মাস বয়সী যমজ সন্তানও।
কাওসারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানায়। তারা সপরিবারে পুরান ঢাকায় থাকতেন।
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ভবনগুলোতে লাগা ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া মরদেহের মধ্যে ৪৮ পুরুষ ৫ জন নারী ও ২ জন শিশু রয়েছে।
এর আগে, বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়ি হাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে তা আশপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট চারঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই ঘটনায় দগ্ধসহ আহত কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
জেইউ/জেএইচ/জেআইএম