পুলিশি হেফাজতে সালমান মুক্তাদির
সেফ ইন্টারনেট স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সমালোচিত ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম।
নাজমুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্যারের সেফ ইন্টারনেট স্লোগানকে সামনে রেখে সালমান মুক্তাদিরকে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।’
গতকাল সোমবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সালমান মুক্তাদিরের অবস্থান জানতে চেয়ে স্ট্যাটাস দেন।
ওই স্ট্যাটাসে মন্ত্রী লেখেন, ‘কেউ কি সালমান মুক্তাদিরের আজকের অবস্থা জানাতে পারবেন?’ এই বিষয়ে সালমান মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোস্তাফা জব্বার।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সালমান মুক্তাদির তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘অভদ্র প্রেম’ টাইটেলে একটি গানের ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওটি অশ্লীলতার দায়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সালমান মুক্তাদির। এরপর তার ইউটিউব চ্যানেল এর সাবস্ক্রাইবার কমতে থাকে।
অনেকে নিজেই সালমান মুক্তাদিরের চ্যানেল আনসাবস্ক্রাইব করেছেন, অন্যকে আনসাবস্ক্রাইব করতে উৎসাহ দিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহেই ইউটিউবের প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার হারিয়েছেন সালমান।
এর আগে ইন্টারনেটে অপেশাদার এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী সানাই মাহবুব সুপ্রভাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিট। সেখানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি দিয়ে লাইভে এসে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান সানাই। এ সময় তাকে বোরকাপরা অবস্থায় দেখা যায়। মুখে ছিল লজ্জামাখা হাসি।
টিকটক ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে খোলামেলা এবং অসামাজিক কথাবার্তা বলে যুবসমাজকে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন সানাই। তার পোস্ট ও বার্তাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত।
তাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রাখা হয়। সরকার যুবসমাজকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে দেড় হাজার পর্নো ও জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে সানাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
সরকারের এই অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশের সব সাইবার ইউনিট, র্যাব, বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ-টু-আই একযোগে কাজ করছে।
এআর/জেএইচ/জেআইএম