নৌপথে ভাসবে নতুন নৌকা ‘সান ফ্লাওয়ার’
দেশের অন্যতম ব্যাটারি ও সোলার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান রহিমা আফরোজ লিমিটেড এবং বিখ্যাত উদ্যোক্তা ও আবিষ্কারক ইভস মারে যৌথভাবে ‘সানফ্লাওয়ার’ নামে একটি নৌকা বাজারজাত করতে যাচ্ছে। নৌকাটির সুবিধা হলো এটি ব্যাটারি ও সোলারের মাধ্যমে চালানো যাবে। যা আমাদের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ও কাপ্তাই হ্রদের দ্বীপগুলোতে নদীপথে যোগাযোগে দারুণ ভূমিকা রাখবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
উদ্যোক্তা ও আবিষ্কারক ইভস মারে বলেন, ‘১৯৯৪ সালে লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ জাহাজ নিয়ে বাংলাদেশে আসার মধ্য দিয়ে আমার বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচয়। এরপর দীর্ঘসময়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নৌকা-প্রযুক্তির উন্নয়নে নানা কাজ করেছি। সম্প্রতি আমার নিজের প্রতিষ্ঠিত তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডে সৌরবিদ্যুৎ-নির্ভর একটি নৌকা আবিষ্কার করি। যা বর্তমান সময়ে এখানকার অধিবাসীদের খরচের ভেতরে থেকেই উন্নত সেবা দিতে সক্ষম এবং পরিবেশসম্মত।’
আবিষ্কৃত নৌকার নাম দেয়া হয়েছে ‘সানফ্লাওয়ার’। এটিকে ব্যাটারি ও সোলার দিয়ে পরিচালনার জন্য ইভস মারেকে সহযোগিতা করছে রহিমা আফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড।
নৌকাটির সুবিধা প্রসঙ্গে ইভস মারে বলেন, ‘এই নৌকাটি যে শুধুমাত্র ব্যাটারি বা সৌরবিদ্যুতে চলবে তা নয়। অনুকূল পরিবেশে এটিকে বাতাসের মাধ্যমেও চালানো যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সানফ্লাওয়ার নৌকাটি আবিষ্কারের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা। বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব নৌযান আছে এর বেশিরভাগ তেল ও ডিজেলনির্ভর। যা নদীর পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে।’
রহিমা আফরোজ লিমিটেডের হেড অব প্রজেক্ট শেখ মনোয়ার আহমদ জানান, আগামী কিছু দিনের মধ্যে এই নৌকাটি বাজারে আসবে। সাধারণত যে দামে কাঠের ছোট নৌকা পাওয়া যায়, সেই দামেই আধুনিক প্রযুক্তির এ নৌকা সরবরাহ করার চেষ্টা করা হবে।
তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডের জেনারেল ম্যানেজার রিভু দেওয়ার জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডে এই নৌকা তৈরির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রজেক্টের অংশ হিসেবে কাপ্তাইয়ে এসব নৌকার প্রচলন শুরু হয়েছে। নৌকাগুলো লম্বায় এখন সাড়ে ১৬ মিটারের মতো। তবে প্রয়োজনে এই নৌকা ৬০ মিটার পর্যন্ত লম্বা করে তৈরি করা যাবে। অনুকূল পরিবেশে এটি নিজের জ্বালানি কাজে লাগিয়ে ১১০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে সক্ষম।
এসআর/জেআইএম