নিজ গণ্ডির ভেতরে থেকে কাজ করতে বললেন মন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কাজের পরিসর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় কী করবে, সিডিএ কী করবে, সিটি কর্পোরেশন কী করবে- এসব নির্ধারিত আছে। সুতরাং সবাইকে নিজ গণ্ডির ভেতর থেকে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, সকল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।’
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিডিএ চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নির্মাণ নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হয় দুই বছর আগে। সে সময় নকশায় ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বানানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)। সম্প্রতি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যোগাতে ফ্লাইওভারের নিচে ১৪টি দোকান ও তিনটি সুপারশপ বরাদ্দের বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় সিডিএ। সিটি কর্পোরেশনের অভিযোগ, তাদের অনুমতি ছাড়াই ফ্লাইওভারের নিচে দোকান তৈরি করছে সিডিএ। অন্যদিকে, দোকান না বানাতে এরই মধ্যে সিডিএকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিন পুলিশ।
গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান আলাদা হলেও সবার উদ্দেশ্য একই। সবাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই উন্নয়ন কাজ নিয়ে কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না। সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজের সমন্বয় করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে, সেটি চলমান রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, যারা উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত আছেন, তারাও স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জীবন খুব দীর্ঘস্থায়ী নয়। আজকে যে পদে আছেন, কাল হয়তো সে পদে আপনি নাও থাকতে পারেন। কিন্তু আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যদি ঠিকভাবে পালন করেন, তবে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে।’
‘কোনো অজুহাতে উন্নয়ন প্রকল্প থেমে থাকবে, জনগণ ভোগান্তির শিকার হবে এবং এর দায়ভার শেখ হাসিনার সরকারের কাঁধে যাবে- সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়’- যোগ করেন গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘সিডিএর কর্মকাণ্ড নিয়ে আমার ধারণা আছে। কাজের গতি বাড়াতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আরও দ্রুত হতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ অনেক পরিশ্রমী। আমার সে বিশ্বাস আরও কাছ থেকে দেখতে চাই। নগর ও গ্রামে কোনো পার্থক্য থাকবে না।’
‘খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করেননি’ অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বামী হত্যার বিচার করেননি খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান হত্যার পর একটি মামলা হয়েছিল। সে মামলার চার্জশিটে পুলিশ আসামি খুঁজে পায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সেটিই গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া। পক্ষান্তরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিট আমরা নারাজি দিয়েছি, বিচার করেছি।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন আবদুচ ছালাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল হক আমিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সিডিএ বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. শাহজাহান, মোস্তাফা জামাল প্রমুখ।
আবু আজাদ/এমএআর/এমকেএইচ