'জনগণ বিবেচনায় নিলে রাষ্ট্রযন্ত্রও কবিকে মেনে নিয়েছে'
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, 'রাষ্ট্র এমন কোনো অবকাঠামো না যা জনগণের বাইরে। জনগণ যখন একজন কবিকে বিবেচনায় নেয়, কবি হিসেবে মানেন। ধরে নেবেন রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে মেনে নিয়েছে। রাষ্ট্রকে আলাদা করে দেখবেন না।'
শনিবার বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে প্রয়াত কবি আল মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদ। শনিবার বেলা ১১ টা ৪৮ মিনিটে একাডেমির নজরুল মঞ্চে রাখা হয় কবির মরদেহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী আরও বলেন, আল মাহমুদ কবি ছিলেন। কবি হিসেবেই তিনি বাঙালির কাছে বেঁচে থাকবেন।
আপনি কী মনে করেন আল মাহমুদ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এটা রাষ্ট্রের বিষয়। রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনার কাজ। রাষ্ট্র কিছু নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনার ভেতর দিয়ে চলে। আমি এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলবো না। কিন্তু শুধু কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী হলে বলতাম।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরো বলেন, ৪৭ সালের পরে পূর্ব পাকিস্তানে নব কবিতার যে আন্দোলন শুরু হয়, পঞ্চাশের দশকে আল মাহমুদ তার অগ্রগণ্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তার লোক-লোকান্তর থেকে শুরু করে সোনালী কাবিন সে সময় প্রকাশিত হয়। তার ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি নব উত্থানের একটি পথ পায়।
তিনি বলেন, আল মাহমুদ আমাদের লোক জীবনকে শহর জীবনের কাছে যে মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন তা এক অভিনব ব্যাপার ছিল। সে জন্যই আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের অনন্য কবি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- 'আগামী দিনে পরবর্তী প্রজন্ম তার পাঠের ভেতর দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সারাংশ শুধু নয়, উপজীব্য বিষয়গুলো কিঞ্চিৎ হলেও লাভ করবে।'
এমএইচ/এসএইচএস/এমএস